Skip to main content

আপনি শিরক সম্পর্কে জানলেন না! তাহলে আপনার জীবনই বৃথা!!

 

আপনি শিরক সম্পর্কে জানলেন না! তাহলে আপনার জীবনই বৃথা!!

.

➡ শরীরে যেকোনো প্রকার তাবিজ ঝুলানো শিরক। (মুসনাদে আহমদ: ১৭৪৫৮, সহিহ হাদিস: ৪৯২)

.

➡ আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নামে কসম করা শিরক। (আবু দাউদ: ৩২৩৬ )

.

➡ কোন কিছুকে শুভ-অশুভ লক্ষণ বা কুলক্ষণ মনে করা শিরক। (বুখারি : ৫৩৪৬, আবু দাউদ: ৩৯১০)

.

➡ মাজারে ও কোন পির-ফকির কিংবা কারো নিকট সিজদা দেয়া শিরক। (সূরা জীন: ২০ / মুসলিম: ১০৭৭)

.

➡ আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো বা যেকোনো পির-আউলিয়া কিংবা মাজারের নামে নামে মানত করা শিরক। তবে মানত না করাই উত্তম। (সহিহ বুখারি: অধ্যায় : তাকদির)

.

➡ কেউ পেছন দিক থেকে ডাক দিলে কিংবা নিজে যাত্রার সময় পিছন ফিরে তাকালে যাত্রা অশুভ হয় এই ধারনা বিশ্বাস করা শিরক। (বুখারি, আবু দাউদ: ৩৯১০)

.

➡ আল্লাহর গুণবাচক নামে অন্য কাউকে ডাকা শিরক (যেমন: কুদ্দুস, রাহমান, রহীম, জাব্বার, সালাম, মুমিন ইত্যাদি) এক্ষেত্রে নামের আগে "আব্দ" বসাতে হবে। (সূরা আরাফ: ১৮০, ইসরা: ১১০)

.

➡ "খোদা" বলে আল্লাহকে ডাকা শিরক। মোট কথা আল্লাহর দেয়া গুণবাচক নাম ব্যতীত অন্য কোন নামে তাকে ডাকা শিরক। (সূরা আরাফ: ১৮০, ইসরা: ১১০)

.

➡ কোন বিপদে পড়ে আল্লাহকে বাদ দিয়ে "ও মা, ও বাবা" ইত্যাদি বলে এইরকম গায়েবি ডাকা শিরক। বিপদে পড়লে "ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন" বলতে হয়। (সূরা বাকারাহঃ ১৫৬)

.

➡ 'তর ভবিষ্যৎ অন্ধকার', 'তর কপালে বহুত কষ্ট আছে', এইধরনের গায়েবি কথা কাউকে বলা শিরক। (সুরা নমল: ৬৫, আল জিন: ২৫-২৬, আনাম: ৫৯)

.

➡ হোঁচট খেলে কিংবা পেঁচা ডাকলে সামনে বিপদ আছে এই ধারনা শিরক। (সূরা আনাম: ১৭, ইউনুস: ১০৭)

.

➡ রোগ ব্যাধি বা বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পেতে শরীরে পিতলের বালা, শামুক, ঝিনুকের মালা, সুতা, কিংবা যেকোনো প্রকারের বস্তু লটকানো শিরক। (তিরমিযি, আবু দাউদ ও হাকেম)

.

➡ সকালে বেচাকেনা না করে কোন কাস্টমারকে বাকি দিলে কিংবা সন্ধ্যার সময় কাউকে বাকি দিলে ব্যবসায় অমঙ্গল হয় এই ধারনা করা শিরক। (আবু দাউদঃ৩৯১০)

.

➡ সফলতা কিংবা মঙ্গল লাভের জন্য এবং অমঙ্গল থেকে রক্ষা পেতে যেকোনো প্রকার আংটি ব্যাবহার করা শিরক। (সূরা আনাম: ১৭, ইউনুস : ১০৭)

.

➡ যে কোন জড় বস্তুকে সম্মান দেখানো তথা তাযীম করা বা তার সামনে নীরবতা পালন করা শিরক। যেমন: পতাকা, স্মৃতিসৌধ, শহিদ মিনার কিংবা মাজার ইত্যাদি। (সুরা বাকারাহ: ২৩৮, আহকাফ: ৫, ফাতহুল বারি ৭/৪৪৮, আবু দাউদ: ৪০৩৩)

.

➡ আল্লাহর ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কিংবা লোক দেখানো ইবাদাত করা শিরক। (সুরা আনাম: ১৬২, বাইয়িনাহঃ ৫, কাহফ: ১১০, ইমরান: ৬৪, ইবনে মাজাহ হা নং ৫২০৪)

.

➡ আল্লাহ ব্যতীত কোন গণক বা অন্য কেউ গায়েব জানে এই কথা বিশ্বাস করা শিরক। (সুরা নমল: ৬৫, আল জিন: ২৬, আনাম: ৫৯)

.

➡ পায়রা/ কবুতর উড়িয়ে শান্তি কামনা করা শিরক, কারণ শান্তি দাতা একমাত্র আল্লাহ। (সূরা হাশরঃ ২৩)

.

➡ আল্লাহর ছাড়া কোন পির-আউলিয়া এবং কোন মাজারের নিকট দুয়া করা বা কোন কিছু চাওয়া শিরক (সূরা ফাতিহা: ৪, আশ শোআরা: ২১৩, গাফির: ৬০, তিরমিযি)

.

➡ "আপনি চাইলে এবং আল্লাহ চাইলে এই কাজটি হবে" এই কথা বলা শিরক। বলতে হবে আল্লাহ চাইলে এ কাজটা সম্পন্ন। (নাসাঈ)

.

এইরকম আরো অসংখ্য শিরক সমাজে বিদ্যমান। আল্লাহ বলেন, অনেক মানুষ আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে, কিন্তু সাথে সাথে শিরকও করে। [সূরা ইউসুফঃ ১০৬]

.

মনে রাখবেন, শিরক এমন একটি গুনাহ যা করলে ঈমান এবং পূর্বের সমস্ত আমল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। কিয়ামতের দিন আল্লাহ যেকোনো গুনাহ ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু শিরকের গুনাহ কখনোই ক্ষমা করবেন না।


নিয়মিত ইসলামিক ভিডিও পেতে আমার এই পেজের সাথে থাকুন জাযাকাল্লাহ 🙏👇

► আপনার যদি পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করুন ও পরবর্তী আপডেট পেতে পেজটি 👍লাইক👍 দিয়ে পাশে থাকুন🤝। 🌺💜কেননা রাসূল (সাঃ) বলেছেন,“যে ব্যক্তি মানুষকে হিদায়াতের দিকে ডাকে তার জন্য ঠিক ঐ পরিমাণ সাওয়াব রয়েছে, যে পরিমাণ পাবে তাকে অনুসরণকারীরা।”🌺💜[সহীহ মুসলিম/২৬৭৪,৬৮০৪]

▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂

🌺 🌺

আমাদের পোস্টগুলি কপিরাইট মুক্ত! সুতরাং আপনি চাইলে কনটেন্টগুলো হুবহু কপি করে ফেসবুক বা যেকোন মাধ্যমে দাওয়াতের উদ্দেশ্যে প্রচার করতে পারেন বিনা অনুমতিতে।

🤝Out Page Link Here🤝

🤝Our Group Link Here🤝

Comments

Popular posts from this blog

আস্তাগফিরুল্লাহ বা এসতেগফারের ফযিলতসমূহ।

  আস্তাগফিরুল্লাহ বা এসতেগফারের ফযিলতসমূহ: আজ ইনশা আল্লাহ পবিত্র কোরান ও হাদীসের আলোকে এসতেগফারের অসংখ্যা উপকারিতা থেকে ২৫টি উপকারিতা ও ফযিলত আপনাদের সামনে উপস্থাপন করব যে সব সমস্যায় আমরা প্রতিদিন সম্মুখিন হই দেখুন এ একটি শব্দে আল্লাহ তায়ালা আমাদের সে সব সমস্যার সমাধান রেখে দিয়েছে আসুন দেখি আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য এসতেগফারের মধ্যে কি কি কারিশমা রেখে দিয়েছেন যা আমাদের জানা নাই। তওবা এবং এস্তেগফার প্রায় একই, তবে পার্থক্য শুধু এতটুকু যে, এস্তেগফার হলো জবান বা মুখ দ্বারা ক্ষমা চাওয়া আর তওবা হলো অন্তর দিয়ে ক্ষমা চাওয়া। এস্তেগফারের জন্য গোনাহ হওয়া বা গোনাহ থাকা জরুরি নয়। নবী-রাসুলরা প্রত্যহ অসংখ্যবার আল্লাহর কাছে এস্তেগফার করতেন, অথচ তাদের কোনো গোনাহ ছিল না। তারা নিষ্পাপ তথা মাসুম ছিলেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) দোয়ায় বলতেন, ‘হে আল্লাহ আমার ছোট-বড়, ইচ্ছায়-অনিচ্ছায়, গোপনে-প্রকাশ্যে, শুরুতে ও শেষে কৃত সব গোনাহ ক্ষমা করে দাও।’ (মুসলিম)। বান্দা তওবা ও এস্তেগফারের সমন্বয় করে দোয়া করবে। নবী করিম (সা.) বলেন, ‘হে লোকেরা, তোমরা তোমাদের রবের কাছে তওবা করো এবং তাঁর কাছে ক্ষমা...

যে-সব ছোটো আমল পূর্বের সমস্ত গুনাহ মিটিয়ে দেয়

 ▌যে-সব ছোটো আমল পূর্বের সমস্ত গুনাহ মিটিয়ে দেয়💕 _______________________________________________ . ০১. পরিপূর্ণভাবে ওযু করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে-ব্যক্তি পরিপূর্ণভাবে ওযু করে, তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। ফলে তার সালাত এবং মাসজিদে গমন, নফল হিসেবে বিবেচিত হয়।" . (সহীহ মুসলিম, হা. ২২৯) . . ০২. ওযু-পরবর্তী দুই রাকা‘আত সালাত। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে-ব্যক্তি অতি উত্তমভাবে ওযু করে এমনভাবে দুই রাকা‘আত সালাত আদায় করে, যাতে দুনিয়াবি কোনো চিন্তা আসে না, তাহলে তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।" . ( সহীহুল বুখারী, হা.৬৪৩৩ ; সহীহ মুসলিম, হা.২২৬ ) . . ০৩. রুকু থেকে দাঁড়িয়ে দু‘আ পাঠ। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "ইমাম যখন ‘সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদা’ বলে, তখন তোমরা ‘আল্লাহম্মা রব্বানা- লাকাল হামদ’ বলো। কেননা যার বলা ফেরেশতাদের বলার সাথে মিলে যায়, তার পূর্বের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।" . (তিরমিযি, হা. ২৬৭; সহীহ) . . ০৪. সূরা ফাতিহা শেষে 'আমীন' বলা। রাসূল সাল্লাল্লা...

আশা করি, এ লেখাটি শবে বরাত সম্পর্কে আপনার ভুল ধারণা ভেঙ্গে দিবে।

 কথিত শবে বরাতে মহান আল্লাহর ক্ষমা ঘোষণা এবং একটি ভুল বিশ্বাসের অপনোদন: (আশা করি, এ লেখাটি শবে বরাত সম্পর্কে আপনার ভুল ধারণা ভেঙ্গে দিবে) ◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় দীনী ভাই ও বোনেরা, প্রথমেই মহান আল্লাহর নিকট দুআ করি, তিনি যেন আমাদের সকলকে তাঁর অবারিত নেয়ামত, মাগফিরাত ও রহমতের বারিধারায় সিক্ত করে জান্নাতের অধিবাসী হিসেবে কবুল করে নেন। আমীন। প্রিয় বন্ধুগণ, অর্ধ শাবান বা কথিত শবে বরাত সম্পর্কে আমাদের সমাজে নানামুখী কথাবার্তায় সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলিমগণ আজ মহাবিপাকে আছে। চলছে পক্ষে ও বিপক্ষে তর্ক-বিতর্ক। এ প্রেক্ষাপটে আমি আপনাদের সামনে কয়েকটি বিষয় আলোচনা করার চেষ্টা করব। আশা করি, এর মাধ্যমে আমরা কিছু বিষয়ে সচেতন হব আর অপনোদন হবে কিছু ভুল বিশ্বাসের ইনশাআল্লাহ। ❑ আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমার ঘোষণা কেবল অর্ধ শাবানের রাতে নির্দিষ্ট নয় বরং এ ঘোষণা আসে প্রতি সপ্তাহে দুবার করে: ▬▬▬▬▬▬▬▬▬ হে সত্যান্বেষী মুক্তিকামী ভাই, আপনি শবে বরাতের রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগী করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। কারণ আপনি আল্লাহর ক্ষমা অর্জন করতে চান এবং চান আল্লাহ যেন আপনার দুআ কবুল করেন। মূলত:...